Sign Up

OR

Sign In

ব্রেস্ট ফিডিং এর ৬ টি কমন সমস্যা এবং তার সমাধান

রেসিপি। গর্ভবতী মায়ের জন্য সকাল বেলার সেরা পানীয়

গর্ভাবস্থায় জন্ডিস সব চেয়ে ভয়াবহ রোগ এবং তার থেকে প্রতিকার.....
গর্ভাবস্থায় জন্ডিস নিয়ে চিন্তিত? আপনি কি জানেন গর্ভাবস্থায় জন্ডিস আপনার গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর কারন ও হতে পারে? চলুন জেনে নেই, পুরো ব্যাপার টি।

গর্ভাবস্থায় জন্ডিস হলে তা অনেক সময় মা এবং বাচ্চা উভয়ের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারন হতে পারে। প্রতি বছর গর্ভাবস্থায় যত বাচ্চা মারা যায় তার ৪০% কারন থাকে গর্ভাবস্থায় মায়ের জন্ডিস। তাই গর্ভাবস্থায় যত রোগ বালাই হোক না কেন মা কে খুব সাবধানে থাকতে হবে এই জন্ডিসের হাত থেকে।

কখন হয় সাধারণত এই জন্ডিস?

১০০ জন জন্ডিস গর্ভবতী মায়ের উপর গবেষণা করে দেখা গিয়েছে সাধারণত গর্ভকালীন শেষ ৩ মাস জন্ডিস খুব বিপদজনক।

কীভাবে বুঝবেন যে আপনি জন্ডিসে আক্রান্ত

জন্ডিসের উপক্রম গুলো আপনি সহজেই কিছু লক্ষন থেকে বুঝে ফেলতে পারবেন। চোখ বা প্রসাবের রং হলুদ হয়ে যাবে। মাঝে মাঝে জন্ডিসের মাত্রা যদি খুব বেশি হয়ে যায় তাহলে শরীরের চামড়াও হলুদ হয়ে যাবে। এছাড়া জন্ডিসে আক্রান্ত রোগীর বমি বমি ভাব, ক্ষুধা মন্দা, গলা-বুক জ্বালা এবং সারা শরীর চুলকাতে থাকে।

আপনজন মোবাইল অ্যাপ টি ফ্রি এখনি ডাউনলোড করুন

অধিকাংশ ক্ষেত্রে, গর্ভধারণের সাথে জন্ডিসের কোন সম্পর্ক নেই কিন্তু এই রোগটি গর্ভবতী মায়ের শরীরে প্রবেশ করে পানি অথবা বিভিন্ন বাহনের মাধ্যমে। সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের কারনেই এই রোগ টি ছড়ায়। এর মধ্যে হেপাটাইটিস “বি” এবং হেপাটাইটিস “সি” ভাইরাস দূষিত পানি আর খাবারের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। আর এই ২ টি ভাইরাস সাধারণত ছড়ায় রক্ত, অনিরাপদ সূচ এই গুলোর মাধ্যমে। তবে গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস “ই” সব চেয়ে ক্ষতিকর।

গর্ভকালীন জন্ডিস এড়াতে করনীয়

  • ফোটানো বা বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। খাবার ঢেকে রাখতে হবে। পচা- বাসি খাবার খাওয়া যাবে না।
  • রক্ত পরিক্ষার জন্য রক্ত দেবার সময় পুরনো বা ব্যবহারিত সূচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করা যাবে না। প্রতিবার নতুন সূচ বা সিরিঞ্জ ব্যবহার করতে হবে
  • যদি কখন এমন কিহু জেনে না যান যে গর্ভবতীর শরীরে হেপাটাইটিস “বি” পাওয়া গেছে বা আগে যে ব্লাড ডনেট করেছে তার “বি” ভাইরাস ছিল তাহলে দেরি না করে খুব দ্রুত “বি” ভাইরাসের টিকা নিয়ে নিতে হবে।
  • গর্ভাবস্থায় যদি জন্ডিসের লক্ষন গুলো দেখা যায় তাহলে দেরি না করে আগে ডক্টরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, যদি ডক্টর মনে করেন আপনাকে কিছু টেস্ট করাতে হবে তাহলে দেরি না করে সেই গুলো করিয়ে নিয়ে ডক্টরের কথা মত চলুন।
  • রক্তে অতিরিক্ত বিলিরুবিন থাকলে, অতিরিক্ত বমি হলে রোগী কে হসপিটালে ভর্তি করানো লাগতে পারে।
  • হেপাটাইটিস “বি” এ আক্রান্ত মায়ের সন্তান জন্মের পর বাচ্চার ও “বি” ভাইরাসের টিকা দিয়ে দিতে হবে।

 

মনে রাখবেন গর্ভাবস্থায় সব রোগ ই কোন ভয়াবহ কিছু না। যেহেতু আপনার মাঝে আরও একটি জীবন বেড়ে উঠছে তাই এই সময় আপনার শারীরিক অনেক পরিবর্তন হতে থাকে যার কারনে আপনার মনে হতে পারে যে আপনি অসুস্থ তাই কোন কিছু সন্দেহ হলেও না জেনে কোন মেডিসিন খাবেন না। প্রয়োজনে আগে ১৬২২২ নাম্বারে কল দিয়ে অভিজ্ঞ গাইনি ডক্টরের সাথে কথা বলে নিন। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করুন।

আপনজন এ প্রকাশিত সকল লিখা বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল বা জার্নাল থেকে সংগ্রহীত। আমাদের কোন কনটেন্ট বা লিখা সরাসরি কাউ কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। গর্ভকালীন যে কোন চিকিৎসা বা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চার দেখা পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার থাকলে কল করুন ১৬২২৭ এই নাম্বারে। 

আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট যা আপনার কাজে লাগতে পারেঃ

ব্রেস্ট ফিডিং এর ৬ টি কমন সমস্যা এবং তার সমাধান

যে ৯ টি পরিস্থিতিতে বুঝবেন সিজার করানো দরকার

ডায়াবেটিস পর্বঃ০১। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কি এবং কেন হয়

ডায়াবেটিস পর্বঃ ০২। কীভাবে বুঝবেন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়েছে?