আরাবি মা হতে চলেছে। তার অনুভুতি প্রকাশ করার মত। প্রথম মা হবার আনন্দ হয়ত শুধু একজন মা ই ভালো জানেন। তাই আরাবি প্রতিদিন গর্ভকালীন বিভিন্ন টিপস, খাবারের তালিকা নিয়েই ব্যস্ত থাকে যাতে তার ছোট্ট সোনামণির কোন অসুবিধা না। তাই আরাবি ডাউনলোড করে নিয়েছে আপনজন অ্যাপ যা তাকে প্রতিনিয়ত দিয়ে চলছে বিভিন্ন সুবিধা যেমন খাবারের তালিকা, তার ঠিক ওজন বাড়ছে কিনা তার রিপোর্ট , কখন কি করতে হবে এমন হাজার টা তথ্য। যদি আপনিও অ্যাপ টি পেতে চান তাহলে ডাউনলোড করে নিন অ্যাপ স্টোর থেকে, একদম ফ্রি!!
আপনজন অ্যাপ ডাউনলোড লিঙ্কঃ https://goo.gl/ci7Cf6
সেদিন হটাত করেই আরাবি তার এক বান্ধুবির কাছে শুনতে পেল নতুন একটা বিষয়ের কথা সেটা হল গর্ভকালীন ডায়াবেটিস। তার কোন এক রিলেটিভের বাচ্চা মারা গিয়েছিল এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারনে। তাই আবারি এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ে খুব চিন্তিত।
আরাবি আর এমন হাজারো গর্ভবতী মায়েদের কথা চিন্তা করেই আমরা ৪ পর্বের একটি ধারাবাহিক ব্লগ পোস্ট শুরু করেছি যেখানে আমরা আলোচনা করব এই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং আদি-অন্ত নিয়ে।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কি
খুব সহজে বুঝিয়ে বললে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস মানে হল গর্ভ পূর্ববর্তী সময়ে ডায়াবেটিস ছিল না এমন কারো যদি গর্ভকালীন সময়ে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়, তবে তার ডায়াবেটিস হয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়। তবে অনেকেই বিচলিত থাকেন যে কখন গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে এই চিন্তা করে? আসলে বেশীর ভাগ সময়ে দেখা যায়, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে গর্ভের শেষ তিন মাসে। তবে একটু নিশ্চিত করতেই বলছি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস কোন বিরল রোগ নয়, প্রতি ১০ জন গর্ভবতীর মধ্যে ১ জনের এই রোগ হয়। তাই বলে রোগ টি কে একদম ছেলে খেলা মনে করাও ঠিক হবে না।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এবং আপনার বাচ্চা
যদি আপনার গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়ে থাকে তবে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রন করা জরুরী। না হলে তা আপনার এবং আপনার শিশুর জন্য বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে আনন্দের বিষয় হল গর্ভকালীন ডায়াবেটিস টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস থেকে ভিন্ন। টাইপ ১ বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস সারাজীবন স্থায়ী হয় কিন্তু গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সাধারণত শিশু জন্মের পর ধীরে ধীরে নিজ থেকেই সেরে যায়।
কেন হয় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস
গর্ভকালীন যে ডায়াবেটিস টি হয় তার মুল কারন যদি বের করতে পারি তাহলে বুঝতে পারবেন ব্যাপার টি কত টা সহজ। আমরা শুরুতেই বলেছি গর্ভকালীন ডায়াবেটিস এর মুল কারন হল রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। আর রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রনের কাজ করে থাকে ইনসুলিন। ইনসুলিন রক্তের গ্লুকোজ কে কোষের ভেতর প্রবেশ করতে সহায়তা করে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় প্লাসেন্টা থেকে কিছু হরমোন বের হয় যা ইনসুলিনের কাজে বাধা দেয় আর তাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় যে ইনসুলিন তৈরি হয় তা যথেষ্ট না। আর স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি যেই ইনসুলিনের দরকার হয় তা গর্ভাবস্থায় পাওয়া যায় আর তখন ই রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায় আর দেখা যায় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস ব্যাপার টি খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা পুরো পোস্ট টি কে ৪ ভাগে ভাগ করেছি। আজ আপনারা পড়লেন প্রথম পর্ব। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন অথবা আমদের পেইজ এ লাইক দিয়ে রাখুন।
গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নিয়ে লিখা দ্বিতীয় পর্ব পড়তে ক্লিক করুন
গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য সব চেয়ে কাছের বন্ধু হতে পারে আপনজন মোবাইল অ্যাপ। খুব সহজে আপনি চাইলে এই অ্যাপ টি ডাউনলোড করে রাখতে পারেন আপনার ফোনে। আর যে কোন দরকারে ফোন করতে পারেন ১৬২২৭ এই নাম্বারে।
আপনজন, স্বাস্থ্য এখন হাতের মুঠোয়।
বি দ্রঃ আপনজন ব্লগে প্রকাশিত সব গুলো লিখা আপনাদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লিখা। যে কোন চিকিৎসার জন্য অবশ্যই ডাক্তারের সাথে আগে আলোচনা করে নিন। আর ডাক্তারের সাথে কথা বলার জন্য ফোন করুন ১৬২২৭ এই নাম্বারে।