গর্ভাবস্থায় আপনি এমন একটি সময় পার করেন যখন আপনি সব কিছু নিয়েই একটু খুত খুতে হয়ে যান। দেখা যায় যেই ব্যাপার গুলো নিয়ে আপনি আগে একটুও সচেতন ছিলেন না কিন্তু এখন খুব বেশিই সচেতন। সেটাই স্বাভাবিক, মা না হলে আসলেই কেউ সেটা বুঝতে পারে না। তাই এই সময় টা তে আপনি হাটা চলা থেকে শুরু করে খাবারের পুষ্টিগুন সব কিছুতেই একটু হিসেবি হয়ে ওঠেন। আমারাও চাই প্রত্যেক গর্ভবতী মা এই ব্যাপার টা তে এমন সিরিয়াস হয়ে উঠুক।
গর্ভকালীন সময়ে খাবারের বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে দুধ একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার। কিন্তু অনেকেই এই পানীয় বা খাবার টি নিয়ে একটু সন্দিহান থাকেন। তাছাড়া কিছু পুরনো কথা বার্তাও থাকে যা বিজ্ঞান সম্মত না, তাই আজ আমরা গর্ভকালীন সময়ে দুধ পান করা নিয়ে একটু বিস্তারিত জানব।
গর্ভকালীন সময়ে আপনার ক্যালসিয়ামের সব চেয়ে বড় উৎস হচ্ছে দুধ। পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ আপনার গর্ভের সন্তানের মিনারেলের চাহিদা পুরন করবে।এই সময়ে আপনার ১০০০ থেকে ১৩০০ মি গ্রা ক্যালসিয়াম দরকার যা ৫০০ বা আধা লিটার দুধে থাকে। মনে রাখবেন আপনার এই সময়ে খাওয়া খাবার থেকেই আপনার সন্তান সকল রকমের পুষ্টি উপাদান পেয়ে থাকে তাই তার মিনারেলের ঘাটতি পুরন করতে আপান্র নিয়মিত দুধ খেতে হবে।
গর্ভকালীন সময়ে দুধের উপকারিতা
গর্ভকালীন সময়ে খাবারের তালিকা তৈরি করতে ডাউনলোড করুন ফ্রি আপনজন অ্যাপ
দুধের প্রকারভেদ এবং কি ধরণের দুধ পান করবেন
আপনি হয়ত বাজারে এখন অনেক রকমের দুধ দেখতে পান তাই কিছুটা দ্বিধায় থাকেন কোন দুধ আপনি পান করবেন বা কোন দুধ আপনার জন্য দরকারি। চলুন দেখে নেই কত রকমের দুধ বাজারে পাওয়া যায় এবং তাদের কার কি ধরনের কাজ:
পাস্তুরিত গরুর দুধ
যদি গর্ভকালীন সময়ে আপনি অতিরিক্ত ফ্যাট না পেতে চান তাহলে পাস্তুরিত গরুর দুধ আপনার জন্য খুব ই ভালো কারন দুধ যখন পাস্তুরিত করা হয় তখন অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট গুলো দূর হয়ে যায়। কিন্তু পাস্তুরিত দুধে ভিটামিন এ এবং ডি এর পরিমাণ ও কমে যায় তাই এক কাপ পাস্তুরিত দুধে তুলনামূলক কম ক্যালরি থাকে। তাই পাস্তুরিত দুধ হয়ত ডেইলি আপনাকে ৩ থেকে ৪ কাপ পান করতে হবে এই সময়ে আপনার ক্যালরির চাহিদা মেটানোর জন্য।
ফুল ক্রিম দুধ
ফুল ক্রিম দুধে ফ্যাটের পরিমাণ খুব বেশি থাকে বিধায় আপনার শরীরের চাহিদার উপর নির্ভর করে আপনি ফুল ক্রিম দুধ পান করতে পারেন। খুব সহজে একটা উদাহরন দিলেই বুঝতে পারবেন ফুল ক্রিম দুধে কি পরিমাণ ক্যালরি থাকেঃ এক কাপ ফুল ক্রিম দুধে ১৫০ ক্যালরি দুধ থাকে যা পাস্তুরিত দুধের চেয়ে প্রায়ই ৩ গুন বেশি।
কাঁচা দুধ
কাঁচা দুধ মানে হল সরাসরি গরুর দুধ যা গোয়ালা দুইয়ে নিয়ে আসে আর আপনি তা জ্বাল না দিয়েই খেয়ে ফেলেন। অনেকেই বলে থাকেন, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে, যে এই সময় কাঁচা দুধ খেলে বাচ্চার গায়ের রং সুন্দর হয়, বাচ্চার হাড় শক্ত হয় আসলে এটা ভুল। বরং, কখনই গর্ভাবস্থায় কাঁচা দুধ খাবেন না, কারন কাঁচা দুধে অনেক রকমের ব্যাকটেরিয়া থাকে যা আপনার গর্ভের বাচ্চার ক্ষতির কারন হতে পারে তাই কাঁচা দুধ না খেয়ে আপনি দুধ ভালো করে জ্বাল দিয়ে তারপর পান করবেন।
আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশে রয়েছে শুধু মাত্র আপনার একটি ফোন কলের জন্য। ১৬২২৭ এই নাম্বারে ফোন করে আপনি সরাসরি একজন ডক্টরের সাথে কথা বলতে পারবেন। গর্ভবতী মা এবং সদ্য মা দের জন্য আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশেই রয়েছে। এছাড়া “আপনজন সগর্ভা” মোবাইল অ্যাপ টি ডাউনলোড করে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন টিপস পেতে পারেন।
আপনজন এ প্রকাশিত সকল লিখা বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল বা জার্নাল থেকে সংগ্রহীত। আমাদের কোন কনটেন্ট বা লিখা সরাসরি কাউ কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। গর্ভকালীন যে কোন চিকিৎসা বা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চার দেখা পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার থাকলে কল করুন ১৬২২৭ এই নাম্বারে।
আপনজন ব্লগের অন্যান্য লিখা গুলো পড়তেঃ