Sign Up

OR

Sign In

যে ৫ টি খাবার গর্ভাবস্থায় খাবেন না

গর্ভকালীন সময়ে গরুর দুধ কীভাবে পান করবেন

৮ টি পানীয় যা গর্ভকালীন সময়ে খুব উপকারি
গর্ভকালীন সময়ে আপনি সব সময় ই চান সেই খাবার বা পানীয় টি খেতে যেটা আপনার জন্য পুষ্টিদায়ক। আপনি হয়ত অনেক রকম ডায়েট চার্ট ফলো করছেন যেটা খুব ই ভালো। কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার এই ডায়েট চার্ট এ যদি অনেক রকমের পানীয় বা জুস থাকে তাহলে সেটার পুষ্টিমান আরও বেড়ে যায়।

গর্ভকালীন সময়ে তাজা ফলমূল আর শাক- সবজি খাওয়া সব সময় গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই খেতে চান না, তারা চাইলে তখন বাসায় থাকা ফলমূল দিয়েই খুব ভালো কিছু জুস বানিয়ে খেতে পারেন। মনে রাখবেন এই সময় জুস খেলে আপনার শরীরের পানির ঘাটতিও দূর হবে।

চলুন দেখে নেই ৮ টি জুসের নাম এবং তাদের উপকারিতা যা আপনি রুটিন করে সারা সপ্তাহ খেতে পারেন

কমলার জুস

 

কমলার জুস ভিটামিন সি এর উৎস যা আপনাকে খুব সাধারন ফ্লু থেকে রক্ষা করবে। তাছাড়া ঠাণ্ডা- সর্দি থেকেই আপনাকে অনেক উপকার দেবে কমলার জুস। তাছাড়া কমলার জুস আপনার রোগ প্রতি রোগ ক্ষমতা  বৃদ্ধিতেও বেশ বড় ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি ছাড়াও কমলা তে রয়েছে পটাশিয়াম যা গর্ভকালীন সময়ে খুব দরকারি একটি উপাদান। তাছাড়া কমলা বাজারে সহজেই পেয়ে যাবেন।

গাজরের জুস

ডিসেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাজারে গাজর খুব বেশি পাওয়া যায়। তাই গাঁজর এর জুস তৈরি করা খুব সহজ হবে। কিন্তু কেন খাবেন গাজরের জুস? কি কি উপাদান আছে এই গাজরের জুসে? খুব সহজে যদি বলি গাঁজর আপনার গর্ভের সন্তানের চোখের জ্যোতি বাড়াবে। তাছাড়া এটা আপনার শরীর থেকে অবাঞ্চিত বিষ বা উপাদান গুলো দূর করে দেয়। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ এবং ই যা আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে। তাছাড়া গর্ভকালীন সময়ে যাদের চুল পড়ে যায় তাদের জন্য গাজরের জুস খুব বেশি দরকারি কারন গাজরের জুস চুল পড়া রোধ করে।

আপেল জুস

আপেলের জুস গর্ভকালীন সময়ে আপনার প্রয়োজনীয় ওজন বেড়ে যাওয়া থেকে আপনাকে সহায়তা করবে। এমন কি বাচ্চা হয়ে যাবার পর ও যদি আপনি নিয়মিত আপেলের জুস পান করেন তাহলে তাহলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রনে থাকবে। আপেল জুস আপনার গর্ভের বাচ্চার ব্রেইন ডেভেলপমেন্ট এ বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই এই সময় আপেলের জুস পান করার চেষ্টা করবেন কারন আপেলের জুস আয়রনের ভালো উৎস ও বটে।

পীচ জুস

পীচ ফল আমাদের দেশে খুব একটা পাওয়া যায় না তবে Agora বা মিনা বাজারের কিছু আউটলেট এ পাওয়া যায়। পীচ ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে আয়রন এবং পটাশিয়াম যা গর্ভকালীন সময়ে খুব দরকারি উপাদান আগেই বলা হয়েছে। পীচ ফলের জুস আপনার   ব্লাডারের জন্য খুব ই ভালো এবং একি সাথে পীচ ফলের জুস আপনার কিডনি কে সুস্থ রাখে। তাই গর্ভকালীন সময়ে কিডনি তে পাথর জমার যে ভয় থাকে তা প্রতিরোধ করবে পীচ ফলের জুস। তাছাড়া পীচ ফলের জুস আপনার খাবার হজমে সহায়তা করবে। 

গর্ভকালীন সময়ে খাবারের তালিকা তৈরি করতে ডাউনলোড করুন ফ্রি আপনজন অ্যাপ

স্ট্রবেরি জুস

গর্ভকালীন সময়ে ত্বকের যত্ন নিয়ে যারা খুব সন্দিহান তাদের জন্য স্ট্রবেরি জুস একটি অপরিহার্য পানীয়। কারন স্ট্রবেরিতে রয়েছে সলিউব ফাইবার যা আপনার ত্বকের পানির অভাব পুরন করে এবং একি সাথে আপনার হৃদযন্ত্রের সুস্থতা নিশ্চিত করে।

লেবুর জুস

সব চেয়ে সহজে তৈরি করা যায় লেবুর জুস। কিন্তু কেন নিয়মিত পান করবেন এই লেবুর জুস? লেবুর জুসে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন, মিনারেল, কার্বো- হাইড্রেড এবং জিংক। তাহলেই বুঝতেই পারছেন এক গ্লাস লেবুর জুস আপান্র শরীরের কত গুলো উপাদানের ঘাটতি পুরন করবে।

নারিকেলের পানি

নারিকেলের জুস না বলে নারিকেলের পানি বলা হল কারন নারিকেলের পানি ই যথেষ্ট, এখানে আর কোন জুসের দরকার নেই। এখন পর্যন্ত যত গুলো পানীয় এর কথা বলা হয়েছে যে গুলো গর্ভকালীন সময়ে খাওয়া যায় তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি কার্যকর হল নারিকেলের পানি কারন আপান্র শরীরের পানির ঘাটতি থেকে শুরু করে শরীরের দুর্বলতা দূর করবে এই নারিকেলের পানি।

আঙ্গুরের জুস

 

গর্ভকালীন সময়ে আঙ্গুরের জুস আপনার অ্যাসিড এর সমস্যা দূর করার সাথে সাথে মাইগ্রেনের সমসসাও দূর করে। তাই এই সময় একদিন পর পর ই আঙ্গুরের জুস খাবেন যাদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া আঙ্গুরের জুস আপনার চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর করতেও সহায়তা করবে।

 

উপরের যেই ৮ টি জুসের কথা বলা হয়েছে সে গুলো আমাদের দেশে খুব কমন তাই সহজেই এই জুস গুলো আপনারা তৈরি করে নিয়মিত খেতে পারেন। গর্ভকালীন সময়ে রসালো ফল যেমন আপান শরীর এর জন্য দরকারি ঠিক একি ভাবে আপনার সন্তানের জন্য ও খুব দরকারি। নিয়মিত রসালো ফল খেলে বাচ্চার গায়ের রং ও সুন্দর হয়।

 

প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় কম হলেও ২ টি জুস আইটেম রাখতে ভুলবেন না। আর যদি আপনি খাবারের তালিকা তৈরি নিয়ে সমস্যায় থাকেন তাহলে এখনি আপনজন অ্যাপ টি নামিয়ে নিন। কারন আপনজন মোবাইল অ্যাপ এ আপনি চাইলেই আপনার প্রতিদিনের খাবারের তালিকা তৈরি করে রাখতে পারবেন।

আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশে রয়েছে শুধু মাত্র আপনার একটি ফোন কলের জন্য। ১৬২২৭ এই নাম্বারে ফোন করে আপনি সরাসরি একজন ডক্টরের সাথে কথা বলতে পারবেন। গর্ভবতী মা এবং সদ্য মা দের জন্য আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশেই রয়েছে। এছাড়া “আপনজন সগর্ভা” মোবাইল অ্যাপ টি ডাউনলোড করে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন টিপস পেতে পারেন।

আপনজন এ প্রকাশিত সকল লিখা বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল বা জার্নাল থেকে সংগ্রহীত। আমাদের কোন কনটেন্ট বা লিখা সরাসরি কাউ কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। গর্ভকালীন যে কোন চিকিৎসা বা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চার দেখা পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার থাকলে কল করুন ১৬২২৭ এই নাম্বারে।

 

আপনজন ব্লগের অন্যান্য লিখা গুলো পড়তেঃ