Sign Up

OR

Sign In

গর্ভকালীন সময়ে গরুর দুধ কীভাবে পান করবেন

কীভাবে বুকের দুধ সংরক্ষণ করে আপনার বাচ্চা কে খাওয়াবেন?

গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পর্বঃ ০৩।বাচ্চার কি ক্ষতি হতে পারে
গর্ভকালীন সময়ে ডায়াবেটিস নিয়ে সবাই খুব বেশি উদ্বিগ্ন থাকেন। কিন্তু একটু সচেতনতা আপনাকে এই ডায়াবেটিস থেকে মুক্তি দিতে পারে। ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পর্বের আজ তৃতীয় পর্ব দেয়া হল।

ডায়াবেটিস নিয়ে আমাদের ধারাবাহিক পোস্টে আজ কে আমরা আলোচনা করব গর্ভকালীন সময়ে মায়ের ডায়াবেটিস থেকে মা এবং শিশুর কি কি ক্ষতি হতে পারে? আর কীভাবে আমরা এই বিপদ থেকে নিজেকে রক্ষা করব?

আপনি যদি ঠিক ভাবে ডায়াবেটিস কে নিয়ন্ত্রন না করেন তাহলে আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় আর এই অতিরিক্ত গ্লুকোজ প্লাসেন্টা অতিক্রম করে আপনার বাচ্চার শরীরেরও প্রবেশ করে ফেলে। অর্থাৎ যদি আপনার শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে আপনার বাচ্চার শরীরেও গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যাবে।

সময়ের সাথে সাথে বাচ্চার শরীরের অতিরিক্ত গ্লুকোজ শেষ পর্যন্ত চর্বিতে গিয়ে পরিণত হয়। আর তাতে বাচ্চার আকার স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই বড় হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় আমরা এটা কে বলি “ মাইক্রসোমিয়া”।

ডায়াবেটিস নিয়ে লিখা আমাদের প্রথম পর্ব টি পড়তে ক্লিক করুন 

আর স্বাভাবিকের চেয়ে বড় আকারের বাচ্চা প্রসবকালীন সময়ে যে কোন বিপদের সম্মুখীন হতে পারে। কি ধরনের ঝুঁকি সেটা একটা উদাহরন দিলেই বুঝতে পারবেন, যেমন মনে করেন স্বাভাবিকের চেয়ে বড় বাচ্চা প্রসবের সময় কাঁধে চোট লাগতে পারে কিংবা মায়ের যোনিপথে আঘাত লাগতে পারে। সব চেয়ে বড় যে সমস্যা টা হয় তা হল বাচ্চা বেশি বড় হয়ে গেলে নরমাল ডেলিভেরি করা হয় না। তখন বাধ্য হয়ে  সিজারের দিকে যেতে হয়, আর সিজার নিয়ে আমাদের আগের লিখা টা হয়ত আপনি পড়েছেন, না পরে থাকলে পড়ে ফেলুন।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে শুধু যে প্রসবকালীন সমস্যা হয় তাই নয় অনেক সময় শিশুর জন্মের পর ও অনেক সমস্যা হয়। উচ্চ রক্তচাপ তার মধ্যে অন্যতম।

গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের কারণে আপনার শিশুর শরীরে যে অতিরিক্ত ইনসুলিন তৈরি হয়ে আসছিল তার কারনের শিশুর জন্মের পর তার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যেতে পারে। ফলে জন্মের কিছুদিন পর শিশুর জন্ডিস হতে পারে আবার শ্বাসকষ্ট ও হতে পারে। আবার পরিণত বয়সে বাচ্চা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি মোটা হয়ে যেতে পারে আবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস হতে পারে।

 

তাহলে কীভাবে গর্ভাবস্থার ডায়াবেটিস কে প্রতিরোধ করবেন?

গর্ভাবস্থায় যদি আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে আপনাকে শুরু থেকেই সচেতন হয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন কোন ঔষধ খেলে ডায়াবেটিস ভালো হয়ে যাবে এমন চিন্তা কোন দিন করবেন না। কারন ডায়াবেটিস ডহরা পড়লেই আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। কি কি সেই নিয়ম?

গর্ভকালীন সময়ে খাবারের তালিকা তৈরি করতে ডাউনলোড করুন ফ্রি আপনজন অ্যাপ। প্রথমেই আপনার ডাক্তার আপনার ডাক্তার আপনাকে পরিমিত একটা খাদ্যভাস এবং কিছু নিয়মিত ব্যায়েমের মাধ্যমে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দেবেন। যদি তাতেও কাজ না হয় তবে কিছু খাওয়ার ঔষধ দিতে পারে আর যদি ডায়াবেটিস খুব বেশি হয়ে থাকে তাহলে কারো কারো ইনসুলিন ও নেয়া লাগতে পারে। তবে যাই করবেন একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে কথা বলে নেবেন।

আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশে রয়েছে শুধু মাত্র আপনার একটি ফোন কলের জন্য। ১৬২২৭ এই নাম্বারে ফোন করে আপনি সরাসরি একজন ডক্টরের সাথে কথা বলতে পারবেন। গর্ভবতী মা এবং সদ্য মা দের জন্য আপনজন স্বাস্থ্য সেবা আপনার পাশেই রয়েছে। এছাড়া “আপনজন সগর্ভা” মোবাইল অ্যাপ টি ডাউনলোড করে আপনি নিয়মিত বিভিন্ন টিপস পেতে পারেন।

আপনজন এ প্রকাশিত সকল লিখা বিজ্ঞান সম্মত বিভিন্ন ওয়েব পোর্টাল বা জার্নাল থেকে সংগ্রহীত। আমাদের কোন কনটেন্ট বা লিখা সরাসরি কাউ কে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নয় বরং সচেতনতা সৃষ্টি করাই আমাদের মুল উদ্দেশ্য। গর্ভকালীন যে কোন চিকিৎসা বা সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া বাচ্চার দেখা পরিপূর্ণ বিকাশের জন্য কোন প্রশ্ন বা কিছু জানার থাকলে কল করুন ১৬২২৭ এই নাম্বারে।